এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
টাঙ্গাইলের জনসভায় প্রদত্ত ভাষণ
মুক্তির লক্ষ্যে না পৌছা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম নবতর উদ্দীপনা নিয়ে অব্যাহত থাকবে।
ইতিহাসের শেষ দিনটি পর্যন্ত স্বাধীন বাংলার পতাকা সমুন্নত থাকবে।
কৃষকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আমি জানি শোষণ কাকে বলে
-মুজিববাদ, খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস, ১৯৭২
দেশের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজের উপর নির্ভর করে।
যতদিন পর্যন্ত বাংলা থাকবে, বাংলার আকাশ থাকবে, বাংলার মাটি থাকবে, বাংলার মানুষ বেঁচে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত একুশের শহীদদের কথা কেউ ভুলতে পারব না।
আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।
রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ
আমার দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার পতাকা আজ দুনিয়ার আকাশে ওড়ে। আজ আমি বলতে পারি বাঙালি একটি জাতি। আজ আমি বলতে পারি বাংলার মাটি আমার মাটি।
সোহরাদী উদ্যানে প্রদত্ত তথ্য
আমার বিশ্বাস, মানুষ মৃত্যুবরণ করবে সাহসের সঙ্গে।
ডেভিড ফ্রস্ট এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ।
রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ
আমার শক্তি এটাই যে আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি। আর আমার দুর্বলতা, আমি এদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি ।
আমার মৃত্যু হলেও আমি আপনাদের সাথে বেইমানি করতে পারব না। রক্ত দিয়ে হলেও আমি আপনাদের ঋণ শোধ করব।
পল্টন ময়দানে প্রদত্ত ভাষণ
আমি জানতাম, আমাদের সংগঠনের শক্তি আছে। আমি একটি শক্তিশালী সংগঠন জীবনব্যাপী গড়ে তুলেছি। জনগণ তার ভিত্তি । আমি জানতাম, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।
ডেভিড ফ্রন্ট এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার
সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণ
আমার মাটির সঙ্গে, আমার মানুষের সঙ্গে, আমার কালচারের সঙ্গে, আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে, আমার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করেই আমার ইকোনমিক সিস্টেম গড়তে হবে।
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে ভাষণ
এই স্বাধীনতা আমার কাছে সেদিনই প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলাদেশের কৃষক, মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।।
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণ
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন, নেতৃত্ব, আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
বিশ্বে স্বাধীনতা লাভকারী জাতিগুলোর মধ্যে আমরা এদিক থেকে গর্ব করতে পারি যে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম হাতে হাত ধরে অগ্রসর হয়েছে।
বাংলা একাডেমিতে দেও়য়া ভাষণ
জনগণকে ছাড়া, জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে, জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিষ্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনরকম গণআন্দোলন হতে পারে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
মুক্তি অর্জনে বাংলার মানুষ অটল থাকবে।
কোন জাতি কোন দিন আত্মাহুতি না দিয়ে মুক্তি ও ন্যায়বিচার পায়নি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে বেতার ও টেলিভিশনে বক্তৃতা
অর্থের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এবার মুক্তির সংগ্রামকে দেশ গড়ার সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে হবে। মুক্তির সংগ্রামের চেয়ে দেশ গড়ার সংগ্রাম কঠিন।
ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা
মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি একান্ত দরকার। ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হলে শান্তি কখনও স্থায়ী হতে পারে না।
যেখানে মানুষ শোষিত, যেখানে মানুষ অত্যাচারিত, যেখানে মানুষ দুঃখী, যেখানে মানুষ সাম্রাজ্যবাদী দ্বারা নির্যাতিত, আমরা বাংলার মানুষ সেই দুঃখী মানুষের সাথে আছি এবং থাকব।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, সকলের প্রতি বন্ধুত্ব -এই নীতির ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে, বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণ
আত্মনির্ভরশীলতা আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগই আমাদের নির্ধারিত কর্মধারা।
মানুষ চায় কী জীবনে? কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় শক্তি, কেউ চায় সম্পদ, কেউ চায় মানুষের ভালোবাসা। আমি চাই মানুষের ভালোবাসা।
যে জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, সে জাতি কারও কাছে মাথা নত করতে জানে না।
নোয়াখালীর মাইজদিতে প্রদত্ত ভাষণ
বাংলার সভ্যতা, বাঙালি জাতি – এ নিয়ে হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাংলার বুকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ থাকবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণ
আমাদের শিক্ষা হবে গণমুখী শিক্ষা।
ছাত্র ইউনিয়নের ত্রয়োদশ কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণ
যে জাতি একবার জেগে ওঠে, যে জাতি মুক্তিপাগল, যে জাতি স্বাধীনতা ভালোবাসে, সে জাতিকে বন্দুক-কামান দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না।
কলকাতার রাষ্ট্রীয় সফরে ভাষণ
যেসব লোক পাকিস্তানি সৈন্যদের সমর্থন করেছে, আমাদের লোকদের হত্যা করতে সাহায্য করেছে, তাদের ক্ষমা করা হবেনা। সঠিক বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেয়া হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণ
সমাজতন্ত্র, প্রগতি আর সাম্প্রদায়িকতা পাশাপাশি চলতে পারে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন, আমাদের আত্মসংযমের প্রয়োজন,
আমাদের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন।
আমি কোনদিন বিশ্বাস করি না, আমার বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না যে বন্দুকের নলই শক্তির উৎস। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ হলো শক্তির উৎস।
আমি চাই কাজ। আমি চাই আমার চিন্তাধারার বাস্তব রূপায়ণ। আমি চাই শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
– মুজিববাদ, খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস, ১৯৭২
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যখন শোষণ করতে চায় তখন তারা আঘাত করে শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপর, ভাষার উপর। তাকে ধ্বংস করতে না পারলে শোষণ করা সহজ হয়ে ওঠে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
শক্তির সাহায্যে যারা শাসনের চক্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় কল্প ও সংঘবদ্ধ জনশক্তি কেমন করে মুক্তির দুর্জয় দুর্গ গড়ে তোলে – আমাদের জনগণ তা প্রমাণ করেছে।
শৃঙ্খলা ফিরে না আসলে কোন জাতি বড় হতে পারে না। সততা ফিরে না আসলে কোন জাতি বড় হতে পারে না।
ঢাকার পিজি হাসপাতালে দেওয়া ভাষণ
ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে আমার জীবন সার্থক হবে,শহীদের রক্তদান সার্থক হবে।
বাংলাদেশের মুক্তি স্পৃহা স্তব্ধ করা যাবে না।
দেশ গড়ার কাজে কেউ আমাদের সাহায্য করতে চাইলে তা আমরা গ্রহণ করব। কিন্তু সে সাহায্য অবশ্যই হতে হবে নিষ্কণ্টক, শর্তহীন।
জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণ
ভিক্ষা করে কোন জাতি বাঁচতে পারে না, নিজে স্বাবলম্বী হতে হবে।
যশোর স্টেডিয়ামে দেওয়া ভাষণ
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্বের। সঠিক নেতৃত্ব ছাড়া রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
গান গাইতে হবে এই বাংলার মাটির, বাংলার গণমানুষের। তবেই গড়ে উঠবে গণমানুষের স্বীকৃতি।
সঙ্গীত শিল্পীদের সংবর্ধনার জবাবে
স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলাম; আজ স্বাধীনতা পেয়েছে। সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছি; সোনার বাংলা দেখে আমি মরতে চাই।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণ
মুক্তিকামী মানুষ, বিশ্বের সবখানে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন মুক্তির জন্য, আমাদের সংগ্রামকেও তাদের নিজেদের বলে গণ্য করা উচিত।
একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা যুদ্ধে বিশ্বাস করি না।
ছাত্র ইউনিয়নের আদেশ কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণ
একচেটিয়া পুঁজিবাদ, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও নয়া-উপনিবেশবাদ এবং আমলাতন্ত্রবাদ ও জঙ্গিবাদ উগ্র ও সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের মূল শক্তি।
– মুজিববাদ, খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস, ১৯१২
জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারি, গড়ে তুলতে পারি উন্নততর ভবিষ্যৎ।
বাঙালি জাতি যে প্রাণ, যে অনুপ্রেরণা নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছিল, সেই প্রাণ, সেই অনুপ্রেরণা, সেই মতবাদ নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।।
যাদের আদর্শ নাই, যাদের নীতি নাই, যারা দুর্নীতিবাজ, যারা দেশকে ভালোবাসে না, তারা যদি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যায়, তাতে প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয় না, প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
আন্তর্জাতিক শান্তি ও সংহতি সুদৃঢ় করা আমাদের সংবিধানের অন্যতম অনুশাসন।
বিশ্ব শান্তি পরিষদে জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার গ্রহণের প্রাক্কালে প্রদত্ত ভাষণ
সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আমার শক্তির উৎস।
চট্টগ্রামের জনসভায় বক্তৃতা
সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণই জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে কম্পুচিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে কথোপকথন
মানুষকে ভালোবাসতে শেখো, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসার মধ্যে কোনো স্বার্থ দেখো না।
সিরাজগঞ্জের জনসভায় প্রদত্ত ভাষণ
শ্মশান বাংলা আমার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলায় আগামী দিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে, আমরা শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব।
জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণ
বাংলায় সম্পদ আছে। বাংলার সম্পদ বাংলার মানুষ, বাংলার সোনার মাটি।।
যুবলীগের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণ
ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না।
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে – এটাই হলো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বাংলাদেশ তাই থাকবে; তাই আমি আশা করি।
নোয়াখালীর মাইজদিতে প্রদত্ত ভাষণ
নীতিবিহীন নেতা নিয়ে অগ্রসর হলে সাময়িকভাবে কিছু ফল পাওয়া যায়, কিন্তু সংগ্রামের সময় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার তারই আছে, যে স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে জানে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণ
১৯৪৭ সালের পূর্বে আমরা যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করেছিলাম তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল আমরা স্বাধীন হয়ে। কিন্তু সাতচল্লিশ সালেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমরা নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ
ছয় দফা মুসলিম হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধদের নিয়ে গঠিত বাঙালি জাতির স্বকীয় মহিমায় আত্মপ্রকাশ আর নির্ভরশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি।
সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রদত্ত বেতার ভাষণ
মানব ইতিহাসের শেষ দিনটি পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের মানচিত্রে সমুন্নত থাকবে।
একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা – অক্ষয় ভালোবাসা – যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
যে চারটা স্তম্ভের উপর বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে সেই চারটি স্তম্ভের উপর বাংলার স্বাধীনতা চলবে – জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
ছাত্র ইউনিয়নের ত্রয়োদেশ কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণ
স্বাধীনতা মানে মানুষ- মুক্ত দেশের মুক্ত মানুষ। তারা সসম্মানে ইজ্জতের সঙ্গে বাস করবে এবং তারা মানুষের মতো বাস করবে।
প্রেসিডেন্ট ভবনে বাস্তুহারাদের উদ্দেশে ভাষণ
দুনিয়ার যেখানেই মজলুম মানুষ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে, আমরা নিশ্চয়ই তার পাশে গিয়ে দাঁড়াব
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দেওয়া বক্তৃতা
নেতৃত্ব আসে সংগ্রামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেউ আকস্মিকভাবে একদিনে নেতা হতে পারে না।
ডেভিড ফ্রস্ট এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার
যে জাতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে জানে না সে জাতি কোন দিন বড় হতে পারে না।
আমরা সাহায্য চাই, কিন্তু স্বাধীনতা বিক্রি করে সাহায্য চাই না।
টাঙ্গাইলের জনসভায় প্রদত্ত ভাষণ
স্বাধীনতা লাভ করা যেমন কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করাও তেমনি কঠিন।
ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দরকার।
জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণ
আমরা জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং সব জাতির সমমর্যাদা নীতিতে আগ্রহী।
জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণ
আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, দেশের মানুষের অধিকার চাই।
রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ
সমৃদ্ধির পথে কোনো সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই।
মে দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণ
বাংলা আমার ভাষা। বাংলার মাটি আমার মাটি বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সভ্যতা আমার। আমি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি।
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো দিন কোনো মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম সৃষ্টি হতে পারে না।
বাংলা একাডেমিতে দেওয়া ভাষণ
ত্যাগ স্বীকার না করে কোন জাতি কোন দিন বড় হতে পারে না।
স্বাধীন জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মর্যাদা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বাংলা একাডেমিতে দেওয়া ভাষণ
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
গণপরিষদ অধিবেশনে বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে
কোনো দেশে কোনো যুগে বিপ্লবের পরে বা সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এভাবে মানুষকে সম্পূর্ণ অধিকার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়নি। আমরা দিয়েছিলাম। তার প্রমাণ আমাদের সংবিধান।।